
থাইল্যান্ডের বিমান টিকিট-বিনামূল্যে | Thailand Air Ticket
দুই লাখ পর্যটককে বিনামূল্যে বিমান টিকিট দেবে থাইল্যান্ড, সম্ভাব্য পদক্ষেপটির আওতায় দেশটিতে ভ্রমণকারী দুই লাখ আন্তর্জাতিক পর্যটকদের বিনামূল্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের টিকিট দেওয়া হবে। বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণের কথা ভাবছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড।
থাই সংবাদমাধ্যম দ্য নেশন থাইল্যান্ডের বরাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্যটি জানিয়েছে দ্য নেশন থাইল্যান্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির পর্যটন ও ক্রীড়ামন্ত্রী সরাওয়ং থিয়েনথং এই পরিকল্পনার জন্য ৭০০ মিলিয়ন বাথ বাজেট প্রস্তাব করেছেন, যাতে বিদেশি ভ্রমণকারীরা শুধু বড় শহরেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের অন্যান্য গন্তব্যও ঘুরে দেখতে পারেন।
দ্য নেশন থাইল্যান্ড জানিয়েছে, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করা হবে— থাই এয়ারএশিয়া, ব্যাংকক এয়ারওয়েজ, নক এয়ার, থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল, থাই লায়ন এয়ার ও থাই ভিয়েতজেট।
সরকারের পক্ষ থেকে একমুখী টিকিটে ১৭৫০ বাথ ও রিটার্ন টিকিটে ৩৫০০ বাথ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) সরাওয়ং জানান, আগামী সপ্তাহে প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। অনুমোদন মিললে থাইল্যান্ড ট্যুরিজম অথরিটি (টিএটি) উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করবে ‘বাই ইন্টারন্যাশনাল, ফ্রি থাইল্যান্ড ডোমেস্টিক ফ্লাইটস’ কর্মসূচির আওতায়। এটি চলবে চলতি বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত, আর ভ্রমণ কার্যক্রম হবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে।
সরাওয়ং আরও বলেন, এই উদ্যোগে অন্তত ২ লাখ বিদেশি পর্যটককে আকৃষ্ট করার লক্ষ্য রয়েছে। তারা সারাদেশের বিভিন্ন গন্তব্য ভ্রমণ করতে পারবেন— বিশেষ করে ইউনেস্কো স্বীকৃত শহর, জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ও প্রধান আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা যখন এয়ারলাইনস ওয়েবসাইট, মাল্টি-সিটি অপশন বা অনলাইন ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের টিকিট বুক করবেন, তখন তারা বিনামূল্যে দুটি দেশীয় ফ্লাইট টিকিট (অথবা একটি একমুখী টিকিট) এবং ২০ কেজি লাগেজ সুবিধা পাবেন।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ উদ্যোগ থেকে সরাসরি আয় হবে অন্তত ৮.৮১ বিলিয়ন বাথ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রভাব দাঁড়াবে প্রায় ২১ দশমিক ৮০ বিলিয়ন বাথ। এটি সরকারের ঘোষিত ২০২৫ সালের ‘অ্যামেজিং থাইল্যান্ড গ্র্যান্ড ট্যুরিজম অ্যান্ড স্পোর্টস ইয়ার’ কর্মসূচির অংশ হিসেবেও কাজ করবে।
মূলত জাপানকে অনুসরণ করে এই উদ্যোগটি নিয়েছে থাইল্যান্ড। জাপানেও দেশীয় ফ্লাইটে প্রণোদনা দিয়ে বড় শহর থেকে পর্যটকদের আঞ্চলিক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।