
অন্যান্যইনফরমেশনট্যুর প্লানবাংলাদেশ
আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমণ (Ahsan Manzil Museum)
🏰 আহসান মঞ্জিল (Ahsan Manzil Museum) ঢাকার একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন, যা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ১৯ শতকে নবাব আব্দুল গনি এটি নির্মাণ করেন। একে ঢাকার পিঙ্ক প্যালেস নামেও ডাকা হয়, কারণ ভবনের বাইরের অংশ গোলাপি রঙের। এটি নবাব পরিবারের প্রাসাদ বা আবাসস্থল ও প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল, আর এখন এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
📍অবস্থানঃ
- ঢাকার সদরঘাটের কাছেই বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
- পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় গেলে সহজেই খুঁজে পাবেন।
✨ কেন যাবেন আহসান মঞ্জিলে?
- ঢাকার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কাছ থেকে দেখার সুযোগ।
- নবাব পরিবারের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, অলঙ্কার, ছবি ও নথিপত্র সংরক্ষিত আছে।
- ইউরোপীয় ও মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অসাধারণ মিশ্রণ।
- ফটোগ্রাফির জন্য দারুণ একটি জায়গা।
🕰️ ভ্রমণের সময়সূচিঃ
- শনিবার – বুধবার: সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
- শুক্রবার: বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
- বৃহস্পতিবার: বন্ধ থাকে।
🎟️ প্রবেশ মূল্যঃ
- বাংলাদেশি দর্শনার্থী: ৪০ টাকা
- ছাত্রছাত্রী: ২০ টাকা
- সার্কভুক্ত দেশের দর্শনার্থী: ৩০০ টাকা
- বিদেশি দর্শনার্থী: ৫০০ টাকা
🚖 কিভাবে যাবেন?
- ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে রিকশা / অটোরিকশায় সদরঘাট বা ইসলামপুর এলাকায় নামতে হবে।
- সেখান থেকে অল্প পথ হাঁটলেই আহসান মঞ্জিলে পৌঁছে যাবেন।
- নৌকা করে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপার থেকেও আসা যায়।
📸 ভেতরে যা দেখার মতোঃ
- নবাব পরিবারের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, পোশাক, অস্ত্র, চিত্রকর্ম।
- দৃষ্টিনন্দন ড্রয়িং রুম, ডাইনিং হল, দরবার হল।
- বুড়িগঙ্গা নদীর পাশের সুন্দর প্রাসাদটির বারান্দা ও বাগান।
📝 ভ্রমণ টিপসঃ
- ভিড় এড়াতে সকালে গেলে ভালো।
- ভেতরে খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যায় না, বাইরে খাবারের দোকান আছে।
- ক্যামেরা নিয়ে গেলে ছবি তোলা যাবে (ভিডিও করার কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে)।
- জাদুঘরের নিয়ম মেনে চলা উচিত।