
আল-আকসা মসজিদ ভ্রমণ (Masjid Al-Aqsa / Al-Aqsa Mosque)
বাইতুল মুকাদ্দাস বা আল-আকসা মসজিদ (Masjid Al-Aqsa / Al-Aqsa Mosque) যা ফিলিস্তিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র স্থান, এটি জেরুজালেমের পুরাতন নগরীর হারাম আল-শরীফ (Temple Mount) এলাকায় অবস্থিত। এটি কাবা ও মসজিদে নববীর পর মুসলমানদের জন্য এটি তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ এবং তাদের প্রথম কিবলা হিসেবে পরিচিত।
🕌 মাসজিদুল আকসার ইতিহাস কী?:
ইসলামের নবী ইব্রাহিম জেরুসালেমেও একটি উপাসনার স্থান প্রতিষ্ঠা করছিলেন। কাবা নির্মাণের চল্লিশ বছর পর (খ্রিষ্টপূর্ব ২১৭০) তিনি এটিকে আরও সম্প্রসারণ করেন যা পরবর্তীকালে “বাইতুল মুকাদ্দাস” নামে পরিচিত হয়। মসজিদে হারামের তুলনায় দূরতম উপাসনার স্থান হওয়ায়, ইব্রাহিম এটিকে “মাসজিদুল আকসা’ বলেও উল্লেখ করতেন।
🕌 কেন আল-আকসা মসজিদ গুরুত্বপূর্ণ?
- কুরআনে উল্লেখিত – সূরা ইসরা’য় বর্ণিত মিরাজের ঘটনা এখানেই শুরু হয়েছিল।
- প্রথম কিবলা – মুসলমানরা প্রথমে এখানেই মুখ করে নামাজ পড়তেন।
- ইসলামী ঐতিহ্যের অংশ – নবী-রাসুলগণ এখানে ইবাদত করেছেন বলে বিশ্বাস করা হয়।

🗺️ ভ্রমণের আগে যা জানা জরুরি
🛂 ভিসা ও প্রবেশাধিকার:
- বাংলাদেশসহ অনেক দেশের মুসলমানরা সরাসরি ফিলিস্তিন ভ্রমণ করতে পারেন না।
- সাধারণত জর্ডান বা ইসরায়েল হয়ে যেতে হয়।
- ভ্রমণ নীতিমালা সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়, তাই আগে থেকেই কনসুলেট বা ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
🚧 প্রবেশ পথ:
- সাধারণত জর্ডানের আম্মান থেকে Allenby Bridge/King Hussein Bridge দিয়ে প্রবেশ করা হয়।
- অনেক সময় ইসরায়েলের ভিসা নিতে হয়।
🚨 সুরক্ষা পরিস্থিতি:
- জেরুজালেম রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল এলাকা।
- ভ্রমণের আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জেনে নেওয়া জরুরি।
✅ ভ্রমণকালে কী দেখবেন?
- আল-আকসা মসজিদ – নামাজ পড়ার প্রধান স্থান।
- ডোম অফ দ্য রক (Qubbat As-Sakhrah) – স্বর্ণের গম্বুজবিশিষ্ট বিখ্যাত স্থাপনা, যেখান থেকে নবী (সা.) মিরাজে গমন করেন।
- মসজিদ কিবলি – কিবলামুখী অংশ, যেখানে অধিকাংশ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
- পুরাতন জেরুজালেম নগরী – সরু রাস্তা, ঐতিহাসিক বাজার ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা।

✅ কিছু ভ্রমণ পরামর্শ
- পোশাক: শালীন পোশাক পরিধান করতে হবে। মহিলাদের জন্য মাথা ঢেকে রাখা উত্তম।
- সময়: ফজর থেকে ইশা পর্যন্ত মসজিদ খোলা থাকে। জুমার নামাজে প্রচুর ভিড় হয়।
- আচরণ: ছবি তোলার সময় সতর্ক হতে হবে এবং ইবাদতের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
- ভাষা: আরবি ও ইংরেজি উভয়ই কাজে লাগে।