প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ১০:৩৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ৪:০০ পি.এম
ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি | Moynamoti War Cemetery

ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (Moynamoti War Cemetery) হলো কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকায় অবস্থিত এটি মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯–১৯৪৫) চলাকালীন সময়ে প্রাণ হারানো সৈন্যদের স্মরণে নির্মিত হয়। এটি কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন (CWGC) দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়ে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র। যুদ্ধ শেষে ব্রিটিশ কমনওয়েলথের উদ্যোগে এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি প্রতিষ্ঠিত হয়।এখানে মোট ৭৩৬টি কবর রয়েছে। এদের মধ্যে— ব্রিটিশ সৈন্য,অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডের সৈন্য,ভারতীয় উপমহাদেশের সৈন্য,বার্মিজ সৈন্য,কবরগুলোর পরিচর্যা ও সংরক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে Commonwealth War Graves Commission (CWGC)।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
- অবস্থান: কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে, ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টের কাছে।
- স্থাপনা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে যুদ্ধে নিহত মিত্রবাহিনীর সদস্যদের কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত।
- কবর সংখ্যা: এখানে প্রায় ৭৩৬ জন যোদ্ধার কবর রয়েছে, যাদের মধ্যে ব্রিটিশ, কানাডিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান, ভারতীয়, বার্মিজসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সৈন্যরা অন্তর্ভুক্ত।
- রক্ষণাবেক্ষণ: কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন প্রতিদিন এটি পরিচর্যা করে থাকে।
বৈশিষ্ট্য:
- সুন্দরভাবে সাজানো সবুজ ঘাসের লন ও ফুলের বাগান কবরস্থানটিকে একটি শান্ত ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ দিয়েছে।
- প্রতিটি কবরের ওপর সাদা পাথরের ফলক বসানো আছে, যেখানে নিহত সৈন্যদের নাম, রেজিমেন্ট এবং মৃত্যুর তারিখ খোদাই করা আছে।
- এখানে একটি ক্রস অব স্যাক্রিফাইস (Cross of Sacrifice) রয়েছে, যা কমনওয়েলথ যুদ্ধকবরস্থানের প্রতীক।
দর্শনীয়তা:
- এটি মূলত একটি ঐতিহাসিক ও স্মৃতিচিহ্নস্থান, যেখানে প্রতি বছর নানা দেশ থেকে পর্যটক ও নিহত সৈন্যদের আত্মীয়স্বজন এসে তাদের শ্রদ্ধা জানান।
- চারপাশের নীরব পরিবেশ ভ্রমণকারীদের জন্য এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
🚌 ভ্রমণ তথ্য:
- অবস্থান: কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় থেকে প্রায় ৭ কিমি দূরে, ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টের কাছে।
যাওয়ার উপায়:
- ঢাকা থেকে বাসে কুমিল্লা (প্রায় ২–৩ ঘণ্টা) → সেখান থেকে অটোরিকশা/সিএনজি নিয়ে ময়নামতি।
- ট্রেনে ঢাকা–কুমিল্লা → সেখান থেকে লোকাল পরিবহন।
- প্রবেশ ফি: নেই, দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
- সময়সূচি: সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সাধারণত খোলা থাকে।
বিনোদনের খবর জানতে পড়ুনঃ বিনোদন প্রতিদিন
Copyright © 2025 ভ্রমন পোস্ট | Vromon Post. All rights reserved.