ধনিয়াচক মসজিদ (Dhania Chalk Mosque) বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি ১৫ শতকের শেষের দিকে ইলিয়াস শাহী আমলে নির্মিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
🕌 স্থাপত্য ও বৈশিষ্ট্যঃ
ধনিয়াচক মসজিদটি ইট ও টেরাকোটায় নির্মিত এবং মধ্যযুগীয় মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর একটি চমৎকার নিদর্শন।মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্টকোনাকৃতির মিনার বা টারেট এবং ওপরে বেশ কয়েকটি গম্বুজ রয়েছে।
সামনের দিকে ৩টি প্রবেশপথ, যার মধ্যে মাঝেরটি তুলনামূলকভাবে বড়, এবং মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ২টি করে আরও ৪টি প্রবেশপথ রয়েছে।
🕌 ঐতিহাসিক গুরুত্বঃ
ধনিয়াচক মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ।
এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য যা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে অবস্থিত। .
১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ সাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছিল তৎকালীন গৌড় রাজ্যের রাজধানী।
তখন বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয় এ অঞ্চলটিতে।
ধনিয়াচক মসজিদ এমন একটি স্থাপনা যা মুঘল আমলে নির্মিত হয়।
মুর্শিদাবাদের বড় সোনামসজিদের নির্মাণের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট সোনামসজিদ নির্মাণ করা হয়।
তখন এই ছোট সোনামসজিদের আশপাশে আরও বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মিত হয়।
ধনিয়াচক মসজিদটি বাংলাদেশের মুসলিম শাসনামলের মধ্যযুগীয় স্থাপত্যকলার এক অপূর্ব নিদর্শন। এটি ইট ও টেরাকোটা নির্মিত একটি মুঘল আমলের স্থাপত্যের উদাহরণ।
মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্টকোনাকৃতির মিনার বা টারেট এবং ওপরে বেশ কয়েকটি গম্বুজ রয়েছে।
সামনের দিকে ৩টি প্রবেশপথ, যার মধ্যে মাঝেরটি তুলনামূলকভাবে বড়, এবং মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ২টি করে আরও ৪টি প্রবেশপথ রয়েছে।
🗺️ ভ্রমণ পরামর্শ
ধনিয়াচক মসজিদে ভ্রমণ করতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে স্থানীয় পরিবহন যেমন সিএনজি বা রিকশা ব্যবহার করে পৌঁছানো যেতে পারে।
যাতায়াতের সময় স্থানীয়দের কাছে পথনির্দেশনা নিলে সুবিধা হবে।
📍 অবস্থান ও যাতায়াতঃ
ধনিয়াচক মসজিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ থেকে এর দুরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার।
সোনামসজিদ থেকে স্থলবন্দর যাওয়ার পথে বালিয়াদিঘির দক্ষিণ-পূর্বপাশ দিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে, যা দিয়ে মসজিটিতে যাওয়া যায়।
🗺️ কাছাকাছি দর্শনীয় স্থানসমূহঃ
বিনোদনের খবর জানতে পড়ুনঃ বিনোদন প্রতিদিন